Logo

আন্তর্জাতিক    >>   শ্রীলঙ্কায় এনপিপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা

শ্রীলঙ্কায় এনপিপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা

শ্রীলঙ্কায় এনপিপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা

শ্রীলঙ্কার নতুন বামপন্থি প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েকের নেতৃত্বাধীন নির্বাচনী জোট ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) শ্রীলঙ্কার আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) শ্রীলঙ্কায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের মোট আসনসংখ্যা ২২৫, এর মধ্যে ১৯৬ আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ করা হয়, এবং বাকি ২৯ আসন ‘জাতীয়ভিত্তিক’ যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের ভিত্তিতে আসন পায়।

নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ ফলাফলে দেখা যায়, ১৯৬ আসনের মধ্যে ১৩৭টিতে জয় লাভ করেছে এনপিপি, যা তাদের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছে। এনপিপি প্রায় ৬২ শতাংশ ভোট পেয়েছে, যা তাদের শক্তিশালী বিজয়ের ইঙ্গিত দেয়। অন্যদিকে, এনপিপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সমাগি জনা বালাবেগায়া (এসজেবি) ৩৫টি আসনে জয় পেয়েছে, তবে তারা এনপিপির কাছে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, ২২৫ আসনের পার্লামেন্টে এনপিপির আসন সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর, অনুরা কুমারা দিশানায়েকের নেতৃত্বাধীন জোটের পার্লামেন্টে আসন ছিল মাত্র তিনটি। তবে, দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য তিনি আগাম নির্বাচনের ডাক দেন এবং এতে তার জোট একটি ঐতিহাসিক জয় পায়। নির্বাচনের পর তিনি বলেন, "আমরা একটি শক্তিশালী পার্লামেন্ট গঠনের জন্য জনগণের ম্যান্ডেট পেতে আশাবাদী এবং আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণ আমাদের এই ম্যান্ডেট দেবে।"

অনুরা আরও বলেন, শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এক বড় পরিবর্তন এসেছে, যার সূচনা গত সেপ্টেম্বর থেকে, এবং এই পরিবর্তন অব্যাহত থাকবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করার মাধ্যমে অনুরার হাতে শক্তিশালী ক্ষমতা এসেছে, যা তাকে তার অর্থনৈতিক নীতি এবং অন্যান্য সংস্কারের বাস্তবায়নে সাহায্য করবে।

শ্রীলঙ্কা ২০২২ সালে এক ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পতিত হয়, যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যায় এবং সাধারণ জনগণ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে শুরু করে। এই বিক্ষোভের ফলস্বরূপ, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং দেশ ছেড়ে চলে যান। এর পরবর্তী সময়ে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন অনুরা কুমারা দিশানায়েক।

নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর, অনুরা তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পার্লামেন্ট ভেঙে দেন এবং আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন। ২০২০ সালের আগস্টে শ্রীলঙ্কায় শেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং সেখান থেকে প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, এ বছর আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert